ইসির নির্দেশে নিজ উদ্যোগে পোস্টার–ব্যানার সরালেন ফরিদপুর-৪ প্রার্থী রায়হান জামিল
![]() |
| ইসির নির্দেশে নিজ উদ্যোগে পোস্টার–ব্যানার সরালেন ফরিদপুর-৪ প্রার্থী রায়হান জামিল |
নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন অপসারণের ঘোষণা দেওয়ার পর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি নিজ উদ্যোগে তার নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাট এলাকায় তার শত শত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে অপসারণ করা হয়। তার এই দায়িত্বশীল ও সচেতন আচরণে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আক্কাস বলেন, “ইসির মাইকিং শোনা গেছে, কিন্তু কোনো প্রার্থীকে নিজ হাতে পোস্টার–ব্যানার উঠাতে আগে দেখিনি। এসব পুরোনো ও ছেঁড়া পোস্টার এলাকায় সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। রায়হানের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা শেখ হেলাল বলেন, “মুফতি রায়হান সবসময় উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় থাকেন। তার ভেতর সমাজ সংস্কারের মনোভাব রয়েছে। আজকের কাজটি অন্য প্রার্থীদেরও উৎসাহ দেবে।”
এ ব্যাপারে মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “ইসি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের পোস্টার–ব্যানার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। তাদের প্রতি সম্মান রেখে আমি আমার সব নির্বাচনী সামগ্রী নিজ হাতে সরিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি। পরিবেশ দূষণ রোধ এবং জনগণের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করাই আমার উদ্দেশ্য। নির্বাচনী প্রতীক পেলে নতুন করে প্রচারণা শুরু করব। ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমার পাশে থাকবে।”
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন সাহা বলেন, “আচরণবিধি নিশ্চিত করতে আজ শুক্রবার থেকে ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলা ও থানায় ন্যূনতম দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সব প্রার্থীকেই নিজ খরচে প্রচারণার পোস্টার–ব্যানার অপসারণ করতে হবে, নইলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।”
রায়হান জামিলের এই উদ্যোগ এলাকাজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকে এটিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার একটি সচেতন ও দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে মুফতি রায়হান জামিল ১০ টাকা পিস ইলিশ, ২ টাকা কেজি চাল এবং ১ টাকা কেজি গরুর মাংস বিতরণসহ বিভিন্ন আলোচিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় আলোচনায় ছিলেন।










