বিএনপির খন্দকার নাসিরের সাথে সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা
বিএনপির খন্দকার নাসিরের সাথে সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা |
মোঃ রফিকুল ইসলাম:
ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আজ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি, মিটিং করতে পারছি শুধুমাত্র আমাদের দেশের ছাত্রসমাজের অগ্রণী ভূমিকার কারণে। তপ্ত বুলেটের সামনে তারা যেভাবে বুক চিতিয়ে দিয়েছে তার কাছে স্বৈরাচার হাসিনা হার মেনেছে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজারে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন কোথাও কোন লেবেলে কোন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিঝ করা যাবে না। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি এগুলো যারা করতে গিয়েছে, দলের নজরে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে বিএনপি করার জন্য হাতে ধরে, পায়ে ধরে মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আজকে বিএনপি করার জন্য লোকের কোন অভাব নেই। আমাদের দলের স্পষ্ট নির্দেশ আছে আওয়ামী লীগের যারা কুখ্যাত সন্ত্রাসী, নির্যাতনকারী, জুলুমবাজ, তাদের দলে নেওয়া তো দূরের কথা, তাদের সাথে কথা পর্যন্ত বলা যাবে না। এটাকে উপেক্ষা করে এই দলের ভেতর নানাভাবে চক্রান্ত চলছে, সেই দলীয় চক্রান্ত আমরা দলীয়ভাবে মোকাবেলা করব। আপনারা দেখেছেন, যারা কোনদিন দল করে নাই, অতি সম্প্রতি আবু জাফরের বিএনএমের পক্ষে নির্বাচন করায় দল থেকে থেকে বহিস্কৃত হয়েছে সেসব বহিষ্কৃত লোকেরা এবং আওয়ামী লীগের পদধারী নয় কিন্তু সমর্থক এমন, বিশেষ করে বোয়ালমারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সভাপতির সমর্থকরা, বিএনএম মিলে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। দুই দিন আগে একটা মিছিল হয়েছে, আমাদের কাছে ছবি আছে, ছবিতে দেখেছি ওই বিএনএম এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত লোকেরা মিছিলে আছে। আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। দলীয় হাই কমান্ডকেও অবগত আছে।’
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৩৭টি মামলার আসামী। বিএনপি করার কারণে আমার মাকে মারা হয়েছে, আমার বাড়িঘর লুট করা হয়েছে। আমি বিএনপির কোন বড় নেতা নই, কিন্তু বিএনপির পরীক্ষিত কর্মী।’
খন্দকার নাসির মতবিনিময়ের এক পর্যায়ে বলেন, ‘পুলিশ এবং শিক্ষকদের বেতন বাড়ায় দিতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ বেতন দিতে হবে।’ তাহলে দেশ, জাতি, সমাজ উন্নতির উচ্চ শিখড়ে পৌছাবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল শুকুর শেখ, পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি খান আতাউর রহমান, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাবেক কাউন্সিলর আ. কুদ্দুস শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সঞ্জয় কুমার সাহা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাহাবুবুর রশিদ হেলাল, বিএনপি নেতা শহিদউদ্দিন মিয়া দীপু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম সম্রাট, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম তুহিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জহুর ইকবাল ঠাকুর পিন্টু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।