Breaking

Monday, April 27, 2020

চরভদ্রাসনে পদ্মা নদী এলাকা থেকে স্থানীয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার


চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চর গোপালপুর মৌজার জলমহল থেকে রবিবার সন্ধা ৬ টার দিকে জহির খান (৩৫) নামক এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। চরভদ্রাসন থানা পুলিশ উদ্ধারের পর ফুলে যাওয়া লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছেন। লাশ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন খানম, ওসি তদন্ত আঃ গাফ্ফার ও ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মৃধা। 

জানা যায়, নিহত যুবক উপজেলা সদর ইউনিয়নের বি এস ডাঙ্গী গ্রামের মোঃ ইউসুফ খানের ছেলে। গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নাই। অনেক খোজাঁখুজিঁর পর পরের দিন সন্ধায় পদ্মা নদী এলাকা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি অভিযোগ পত্র পেশ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে জহির খানের এক বন্ধু শাহীন মোল্যা (৩৫) মুঠোফোনে তাকে বাড়ী থেকে ডেকে নেয়। পরে একই রাত পৌনে দশটার দিকে শাহীন মোল্যা সহ আরো দুই বন্ধু কাউছার মন্ডল (৪০) ও রুবেল বেপারী (৩৮) মিলে নিখোঁজ যুবকের বাড়ীতে এসে জানায় যে, তারা চার বন্ধু মিলে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু মাঝ পদ্মায় যাওয়ার পর নৌকা ডুবে যায়। পরে পদ্মা নদীর অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় তিন বন্ধু প্রানে বেঁচে আসলেও জহির খানকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নাই।  অনেক খোজাঁখুজিঁর পরে পরের দিন (রবিবার) সন্ধায় পদ্মা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে আজ সোমবার বিকেলে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে চরভদ্রাসন হাজীডাঙ্গী গোরস্থানে দাফন করা হয়। ফরিদপুর মেডিকেল সুত্রে ডাক্তার প্রথমিক ভাবে জানায় লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তবে চুরান্ত রিপোর্ট পেতে ২/১ দিন সময় লাগবে। অভিযুক্ত আসামীরা এ ঘটনার পরে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।





No comments:

Post a Comment